ক)
একটা দ্বীপ।
মানচিত্রে দেখলে যার শরীরে অসংখ্য ফাটাফাটা দাগ। ছোট, বড়, আকাবাকা দাগ।
তার মাঝখানের কোন একটা দাগের কোন একটা অদ্ভুত নাম।
মাস কিংবা সপ্তাহে একবার বা দুইবার সূর্য্য উঠার পরই পিতা তার পূত্রকে নিয়ে দাগের পারে পারে ঘুড়তে যায়।
তীরে লাগানো জাহাজ। এক দাগ হতে আরেক দাগে যাওয়ার গাড়ি।
কোনদিন বা পূত্র তার পিতার আঙুল ধরে যাত্রার জন্য তৈরী কোন গাড়িতে উঠে। গাড়ি হর্নের শব্দ করে তীর ছেড়ে যাওয়ার আগেই তীরে নেমে যায় তারা।
আরামদায়ক সকালের বাতাস, তাপবিহীন সূর্য্য, সাজসজ্জা বিহীন দাগ-তীরে অনেক মানুষ, তার ই মাঝে আঙুল ধরে দাড়িয়ে থাকা দুইজন।
খ)
আরেকটি দ্বীপ।
মানচিত্রে দেখলে যার শরীরে অল্প কিছু দাগ।
তার নিচের ডান দিকের কোন একটা দাগের অদ্ভূত একটা নাম।
কোটি টাকা খরচে সাজানো দাগ-তীরে বসে থাকে একজন বা আরো অনেকে।
দাগের মাঝখান দিয়ে কত দাগ-গাড়ি যায়,আসে।
দাগ তীরে রাখা আসল চেহারার নকল গাড়ি, যে গাড়িতে উঠলে হর্ন দিয়ে কোনদিন ই ছেড়ে যেতে চায় না, রেখে যেতে চায় না আঙুল ধরা কাউকেই।
দাগ তীর দিয়ে প্রায়ই হেটে যায় কোন একজন বা কয়েকজন।
দ্বীপ বদলায়, দাগের সংখ্যা বদলায়, সময় বদলায়, আর বদলায় মনের দাগ।
''দূর ইশারায়, বহু দূরে আছড়ে পরে আকাশ
কি হয় তোদের, একটু খানি আদর বেশি মাখাশ
দূরের মানুষ, কাছের মানুষ
জটিল সমীকরন।
সরল মনের, তরল কাধে
করছি তাকে বরণ, করছি তাকে বরণ।''
dur Isarai
------------------
------------------
অন্য একটা টপিক:
কেউ/কিছুর উপর মন খারাপ আর বিরক্ত হওয়া এই দুইটা জিনিস আমার কাছে হিউজ আলাদা মনে হয়। যদিও কনসিকোয়েন্স অলমোস্ট সেইম দিকেই যায়। কিন্তু বিরক্তি জিনিসটার টক্সিসিটি তুলনামূলক বেশি সময় থাকে, ইভেন অনেক দিন পরেও রিলেইটেড পার্টিকে অন সাইট গুল্লি মারতে ইচ্ছা করে। কিন্তু মন খারাপ জিনিসটা টাইম ইলেপ্সের সাথে সাথে ডিটেরিওরেট করে। মনের ভাব ক্লিয়ারলী বুঝানোর জন্য অনেকগুলি ইংলিস শব্দ ইউজ করতে হইছে।